রঙ বাংলাদেশ
অন্যদিকে আমি সামলেছি ডিফেন্স। সবসময় নেপথ্যের মানুষ হিসাবে রঙ-এর অগ্রযাত্রাকে সুগম করার চেষ্টা করেছি। একটা সময় পর্যন্ত রঙ মানেই ছিল নারায়নগঞ্জের রঙ। সেসময় রঙ-এর সবেচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা ছিল শাড়ির। আমরা বলতামও বটে রঙ-এর শাড়ি কিনতে হলে নারায়ণগঞ্জ আসতে হবে। এভাবেই চলছিল। তারপর রঙ নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে ঢাকায় পা রাখে। আস্তে আস্তে শাখা ছড়াতে থাকে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের অন্যত্রও। কিন্তু ২১ বছর পার করে এসে এমন করে আকস্মিকভাবে তাল কাটবে তা কে জানত। মাস কয়েক আগে বিপ্লবই এই প্রস্তাব দিয়ে একলা পথচলার সিদ্ধান্ত নেয়। তেমন কোন কারণ ছাড়াই। আমার মনে হয়েছিল এটা ওর কোন অভিমানী চিন্তা। পরে ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু সেটা আর হয়নি, ফাটল জোড়া লাগেনি। ফলে নতুন পথচলা শুরু করতে হয়েছে আমাকে। এই ব্যবসায় কোনদিন আসব সেটাই তো ভাবিনি, আজ সেই ব্যবসাকেই এখন থেকে একা টেনে নিয়ে যেতে হচ্ছে। অবশ্য একাই বা বলি কেন ? আমার সঙ্গে রয়েছে একটি দল, যারা সবাই এই প্রতিষ্ঠানের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। অতএব এখন থেকে সেই আগের রঙ নয়। ২১ বছর পর দ্বিবিভক্ত রঙ-এর একটা অংশ রঙ বাংলাদেশ। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট এর সবগুলো দেশীদশেই থাকছে রঙ বাংলাদেশ। আমাদের আরো পাওয়া যাবে সীমান্ত স্কয়ার, নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোড, মোহাম্মদপুর, ব্রাম্মণবাড়িয়া, ফেনী ও ময়মনসিংহ এ। আমাদের মাদার ব্র্যান্ড অবশ্যই রঙ বাংলাদেশ। এর সঙ্গে আরো রয়েছে তিনটি সাবব্র্যান্ড। ওয়েস্ট রঙ, শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আমার বাংলাদেশ। আমাদের সব ব্র্যান্ডের প্রডাক্টই শতভাগ দেশজ। আমরা দেশে এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চাই।